প্রত্যয় ডেস্ক, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষা অফিসে ২০১৯-২০ অর্থবছরের সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের প্রায় ১ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ১৮৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা, রুটিন মেরামত, মাইনর ও ক্ষুদ্র মেরামত, প্লেয়িং এক্সেসোরিজ ও অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজের জন্য প্রায় ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়।
বরাদ্দকৃত অর্থের টাকা থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা ১৮৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয়ে সভাপতির যৌথ একাউন্টে গত জুন মাসে হস্তান্তর করা হয় । উক্ত টাকার বিপরীতে এক মাসের মধ্যেই শতভাগ কাজ সম্পন্ন করার আশাবাদ ব্যক্ত করা হলেও করোনার অজুহাতে সংশ্লিষ্টরা কাজের কাজ কিছুই করেনি। ফলে শিক্ষা অফিসার শিক্ষকদের কাছ থেকে কাজ বুঝে নিতে ব্যর্থ হন।
এদিকে চাপের মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান নতুন করে নামমাত্র কাজ শুরু করেছে। বরাদ্দের ১ কোটি টাকা শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে কৌশলে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কয়েকজন প্রধান শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শিক্ষা অফিসারকে নির্দিষ্ট অংকের সেলামী না দিলে বরাদ্দ পাওয়া যায় না। এ কারণে সরকারের মহৎ উদ্দেশ্যে ভেস্তে যেতে বসেছে।
এদিকে উপজেলার রাধিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সুনীতি রাণী রায় মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে ভারতে দেবাশিষের সাথে সংসার করছেন বলে স্থানীযরা জানান। তার ছুটি শেস হওয়ার পর ৩ মাস অতিবিাহিত হলেও তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। এ কারণে ওই বিদ্যালয়ের বরাদ্দের টাকা ব্যয় করা যাচ্ছে না।
এছাড়াও উপজেলার দেহানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভোমরাদহ-১, দস্তমপুর, দানাজপুর, রনশিয়া, ভোমরাদহ-২, কাচনডুমুরিয়া, বাজারদেহা, ঘিডোব, পীরগঞ্জ মডেল, ভেমটিয়া, বেগুনগাঁও, হাজীপুর সহ প্রায় ২০ টি প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে বরাদ্দের টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাবিবুল ইসলামের নিরব ভূমিকার কারণে বরাদ্দের প্রায় কোটি টাকা লোপাট হওয়ার পথে বলে মনে করেন বিদ্যালয় এলাকার লোকজন।
এ ব্যাপারে পীরগন্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাবিবুল ইসলামের মতামত চাওয়া হলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হারুনুর রশিদ জানান, কারো বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বরাদ্দের টাকায় কাজ না করে লোপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রিপোর্টঃ বদরুল ইসলাম বিপ্লব